এবার মুখ খুললেন ওমর সানী ও মৌসুমী দম্পতি সন্তান ফারদিন এহসান স্বাধীন। জায়েদ খানকে ঘিরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কথা বললেন ফারদিন। বাবা-মায়ের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার আব্বা এত বছর ধরে চলচ্চিত্র আছেন, তিনি তো না বুঝে কথা বলবেন না। আর যাঁকে নিয়ে অভিযোগ এসেছে, তাঁকে দিয়ে তো সব সম্ভব। এর চেয়ে বেশি নোংরা কিছু করা সম্ভব। তবে তাঁকে আমার ফ্যামিলির জন্য কোনো একটা ইস্যু বা টিস্যু কোনো কিছুই মনে করি না।’
এরপর রবিবার সন্ধ্যায় জায়েদের বিরুদ্ধে ওমর সানী সংসার ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ তুলে শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই লিখিত অভিযোগে জায়েদ চার মাস ধরে তাদের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন সে কথা উল্লেখ করেছেন ওমর সানী।
কিন্তু পরেরদিনই মৌসুমী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান তাঁকে ডিস্টার্ব তও নয়ই, উল্টো সম্মান করেন। আর তিনিও জায়েদকে স্নেহ করেন। একই সাথে মৌসুমী জানান জায়েদের মন মানসিকতা ভালো এবং সে ভালো ছেলে।
কিন্তু মৌসুমীর এই বক্তব্যকে কার্যত নাকচ করে দিয়ে ওমর সানী ফেসবুক লাইভে এসে তার বক্তব্যে অটল থাকার কথা জানান। অর্থাৎ জায়েদ যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করে সে কথাতেই অটল থাকে। একই সঙ্গে এও বলেন যে তাঁর ছেলের কাছে ব্যাপক প্রমাণ রয়েছে জায়েদের ডিস্টার্ব করার বিষয়ে।
এরপরে মৌসুমী ও ওমর সানীর ছেলে ফারদীন গণমাধ্যমকে বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তব্য খুবই কৌশলী হলেও সানীর অভিযোগকেই মান্যতা দেয়। অর্থাৎ মা মৌসুমীর বিপরীতে চলে যায়।
ফারদীন বলেন, তার (জায়েদ খান) বিষয়ে সবাই মোটামুটি জানেন। শুধু আমার আম্মা না, উনি কমবেশি সবাইকে হ্যারাস করে থাকেন। উনি আমার আব্বুর সাথেও বেয়াদবি করেছেন, আম্মুর সাথেও করেছেন। কিন্তু আম্মু ভেবেছেন, বিষয়টা সিভিল ম্যাটার, এটা ফ্যামিলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। আমরা নিজেরাই সলভ করবো। এটা নিয়ে যেন এত কাদা ছোঁড়াছুড়ি না হয়, সেই চিন্তা থেকেই আম্মু কথাগুলো বলেছেন। যেন বিষয়টা দ্রুত ঠান্ডা হয়।
ফারদীন বলেন, এক জায়গায় দেখলাম আম্মু নাকি বলেছেন, মিথ্যাচারে জড়াচ্ছেন ওমর সানী। এটা আসলে ঠিক না। আম্মু যদি কোথাও স্টেটমেন্ট দেয় আমি বলব, এটা ঠিক না। আসলে এটা পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্যই বলেছেন। আম্মু আমার সাথে কথাও বলেছেন। উনিও চান নাই পত্রিকায়-টিভিতে এসব নিয়ে আলোচনা বা সংবাদ প্রকাশ হোক।
এরপর সানী-মৌসুমী দম্পতির ছেলে ফারদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শুধু আমার আম্মা না, উনি (জায়েদ খান) কমবেশি সবাইকে বিরক্ত করেন। আমি জানি বিষয়গুলো। কিন্তু পাবলিকলি সব বলবো না। জায়েদ খান আমারসবশেষে ফারদিন বলেন, ‘মা বলেছেন বাবার সঙ্গে কিছুটা রাগারাগি হয়েছে। আমার দর্শক ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী যারা একটু কষ্ট পাচ্ছেন, আমি একটু সুস্থ হলেই আবার অডিও বার্তা হোক, ভিডিও বার্তা হোক, যেভাবেই হোক আমি মনের কথা জানাব। আর বাবা–মায়ের মধ্য কিছুটা মনোমালিন্য হয়েছে, এর মানে এই নয়, সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে। তেমন কিছু না।’ ব্যবসারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। ’